ডেস্ক রিপোর্টঃ সামনের লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এর অধীন দফতর ও সংস্থাগুলোর বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ বাড়ায় আগামী ১ জুলাই থেকে সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। ২৮ জুন থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হলে যানবাহন পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাবে। ১ জুলাই তা পুরোপুরি বন্ধ হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি সকলকে আহ্বান করবো, সামনে যে লকডাউন সেখানে পুলিশ ছাড়াও বিজিবি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এবার থাকবেন, যাতে লকডাউনটা সুন্দরভাবে পালিত হয়। ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণটা রোধ হয় এবং মৃত্যুর সংখ্যা যাতে অনেক কমিয়ে আনতে পারি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখন করোনা রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার যথেষ্ট লোক আছে। তার পরেও সংকট এড়ানোর জন্যই লকডাউন দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সারাদেশে প্রায় ১২-১৫ হাজার বেড করোনার জন্য ডেডিকেটেড করা আছে। আমাদের এখন যথেষ্ট বেড আছে। হাইফ্লো নজেল লাগানো বেড আছে সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রায় ১৬শ’। অক্সিজেন আছে, ওষুধের কোনও ঘাটতি নাই। সেদিক থেকে আমরা মনে করি যে একটা সহনীয় পর্যায়ে আছি। আমাদের এখন থেকেই নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা যদি করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, তাহলে আমাদের ক্যাপাসিটি কিন্তু ডাউন হয়ে যেতে পারে। বিদেশে যারা কর্মী যান, সে জায়গাটা ব্যাহত হবে। ভিসা পেতে কষ্ট হবে, ভিসা দিতে চাইবে না। কাজেই সব দিকে লক্ষ রেখে জীবন রক্ষা করতে হবে। দেশে যদি করোনা নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারি, তাহলে অর্থনীতিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে।’
এদিকে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আজ সোমবার থেকে সীমিত ও বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। তবে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হতে পারে শিল্প কলকারখানা। এ ছাড়া রফতানিমুখী কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে চালু রাখা হতে পারে ব্যাংকিং সেবাও।
শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা করা হলেও অর্থবছরের শেষ সময় হওয়ায় সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। মার্কেট, হোটেলরেস্তোরাঁসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হবে। এই সময়ে কিছু কার্যক্রম চালু থাকবে। আর ১ জুলাই থেকে সাত দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হবে।
দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার গত ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও আট দফা বাড়িয়ে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।
দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার গত ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও আট দফা বাড়িয়ে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।
এর মধ্যে আবার স্থানীয় প্রশাসনও বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ দেয়। সর্বশেষ গত রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নতুন করে ঢাকার আশপাশের চার জেলাসহ মোট সাত জেলায় সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচল (জনসাধারণের চলাচলসহ) ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে।