সুনামগঞ্জের ছাতকে দুর্বৃত্তদের হাতে আখলাক মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। রোববার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বুড়াইরগাঁও গ্রামের দক্ষিণের জমি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। তিনি পার্শ্ববর্তী মোল্লাআতা গ্রামের জাহির আলীর ছেলে ও গোবিন্দগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় হোছন সুপার মার্কেটের সামনে খোলাবাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল বিক্রি করতেন আখলাক মিয়া। তাকে সহযোগিতা করতেন ভাগিনা আলী আহমদ। প্রত্যেহ দু’টি বাই সাইকেল যোগে মামা-ভাগিনা বাড়ি থেকে যাওয়া আসা করতেন। কিন্তু রোববার রাতে ভাগিনাকে আগে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মামা। রাত প্রায় সোয়া ১০টার দিকে মামা আখলাক দোকান বন্ধ করে সওদাপাতি নিয়ে বাইসাইকেল যোগে একাই বাড়ি ফিরছিলেন। বুড়াইরগাঁও-বাউভোগলী সড়কের বুড়াইরগাঁও গ্রামের দক্ষিণের কবরস্থান এলাকা অতিক্রম করার পর পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে বাইসাইকেল থেকে পাকা রাস্তায় ফেলে দেয়। প্রাণে বাঁচতে ব্যবসায়ী রক্তাক্ত অবস্থায় ধানের জমিতে দৌড় শুরু করেন কিন্তু বাঁচতে পারেনি। দুর্বৃত্তরা তাকে জমিতেই মুখ থুবড়ে ফেলে হত্যা নিশ্চিত করে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
রাত প্রায় সোয়া ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ বাজার থেকে সিএনজি অটোরিকশা যোগে মোল্লাআতা ইলামেরগাঁও এলাকার অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ওই রাস্তা দিয়া বাড়ি যাওয়ার পথে বুড়াইরগাঁও গ্রামের দক্ষিণে রাস্তার এক পাশে বাইসাইকেল ও সওদাপাতি অপর পাশে রাস্তায় রক্ত দেখতে পায়। পরে তারা বিষয়টি গ্রামের মানুষকে অবহিত করে। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য সুরেতাজ মিয়াসহ গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে যান। এর আগে ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান এর মাধ্যমে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। তারা ঘটনারস্থল থেকে প্রায় একশ’গজ দূরে সদ্য রোপণকৃত ধানের কাদা জমি থেকে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের পর স্বজনরা আখলাকের লাশ সনাক্ত করেন।
থানার উপ-পরিদর্শক শামসুল আরেফিন জানান, সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশের ডান উড়–তে ছুরির আঘাত রয়েছে।