বাংলাদেশের যেকোন নির্বাচনে টাকার খেলা চলেই। এবার খেলাটা শুরু হয়েছিল আরো অনেক আগে। বিশেষ করে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তৃণমূলের কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই টাকার খেলা শুরু হয় বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।
প্রচারণার শেষ পর্যায়ে এসেও সেই তথ্যই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো। দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সিলেট জেলার ৩ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের নির্বাচন ১১ নভেম্বর। স্বাভাবিকভাবে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে প্রচারণা শেষ হয়ে গেছে।
এরপর বরাবর যা হয়, তাই হতে শুরু করেছে। রাতের আঁধারে ভোট কেনাবেঁচার পর্বটা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। প্রকাশ্যে মাইক বাজিয়ে ইনিবিনিয়ে সঙ্গীত আর মিছিলে মিছিলে প্রচারণা শেষের পর এখন চলছে দল বেঁধে গোপনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা।
পাশাপাশি দোদুল্যমান ভোটারদের ভোটগুলো নিজের পক্ষে নেয়ার সর্বশেষ চেষ্টা হিসাবে টাকার ছড়াছড়ি। এক্ষেত্রে ইউপি সদস্য থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রায় সবাই সক্রিয়। নিজেদের খুব ঘনিষ্ঠদের দিয়ে তারা ভোট কেনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
দ্বিতীয় ধাপে সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও বালাগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সিলেট সদরের মোগলগাঁও ইউনিয়নের নিরপেক্ষ একজন ভোটার জানালেন, এখনো কাকে ভোট দিব সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। যোগ্য এবং পছন্দের একাধিক প্রার্থী আছেন। চিন্তায় আছি কাকে ভোট দিব।
টাকার খেলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বললেন, সেতো চলছেই। অনেক আগে থেকেই চলছে। তবে এখন চলছে শেষ মুহুর্তের তৎপরতা। তিনি আরও জানান, এ সময়টাতে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর ভোট ব্যাংকে হানা দিচ্ছেন প্রার্থীরা।
এমনকি মেম্বার পদপ্রার্থীরাও রাতের আঁধারে ভোট কেনায় ব্যস্ত। কোম্পানীগঞ্জ এবং বালাগঞ্জেও একই তৎপরতা চলছে বলে মোবাইলে আলাপকালে জানিয়েছেন কয়েকজন সচেতন ভোটার।
সেক্ষেত্রে বুধবার মধ্যরাত এমনকি নির্বাচনের দিন সকালেও দলে দলে নিজস্ব লোকজনের মাধ্যমে তারা টাকার বস্তা নিয়ে দৌড়াচ্ছেন। এ নিয়ে এখনো যদিও কোথাও কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি তবে যখন তখন তা ঘটতে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করলেন তারা।