দলিল জালিয়াতি মামলার প্রধান আসামি বিশ্বনাথের প্রবাসী ছইল মিয়া দাদু ভাইকে কারাগারে পাটিয়েছে আদালত।
ছইল মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পালের চক গ্রামের মৃত ইছাক আলীর পুত্র। দলিল জালিয়াতি হয়েছে মর্মে এমন অভিযোগ এনে ২০১৯সালের ১৩জুলাই সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে ছইল মিয়া ও তার ভাই মুনছুর মিয়াকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন তারই চাচাত ভাই তফুর আলী উরফে নেফুর আলী। (বিশ্বনাথ জিআর মামলা নং-১৪৪)। এই মামলায় প্রবাসি ছইল মিয়া দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
(১০জানুয়ারি-২১ইং) সোমবার সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবি সৈয়দ গোলাম রশিদ।
মামলার এজহার সুত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার বুবরাজান মৌজার জেএল নং-৬৩, খতিয়ান নং-১৯৭, দাগ নং-৯৯৭ দাগে .৩৩ একর ভুমির ২০৩ নং খতিয়ানে বিএস-১০০০ নং দাগে বাদির পিতা ইলিয়াস আলীর নামে রেকর্ড প্রকাশিত ও ভোগ দখলে আছেন।
কিন্তু বিবাদি ছইল মিয়া ও মনসুর আলী বিশ্বনাথ সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের ২৫১০/৯৫ইং কাবালাটি সহকারি কমিশনার ভুমির নিকট দাখিল করে বাদি ও তার চাচার সমুদয় ভুমি বিবাদিগণের নামে নামজারি করে নেন। বাদি দলিলের নকল তুলে দেখতে পান যে, ২৫১০/৯৫ নং দলিলটি টেংরা প্রকাশিত চাঁনপুর গ্রামের মৃত হামিদুল্লাহর পুত্র মনতাজ আলী ও সুনাফর আলীর নামে রয়েছে। ভুমির মালিক বাদির পিতা বা চাচা বিবাদিগণের নিকট কোন দলিল সম্পাদক করে ভুমি বিক্রয় করেননি। চালাক চতুর আসামিগণ জাল দলিল সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতারনা করে ভুমি আত্বসাৎ করেছেন।
এই মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে ছইল মিয়াকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এ সংক্রান্ত বিষয়ে উভয়ের মধ্যে একাধিক পাল্টাপাল্টি মামলা চলমান রয়েছে।