ফারুক আহমদ, বিশ্বনাথ থেকেঃ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। ফের করোনার ‘হটস্পট’ হয়ে উঠছে এ উপজেলা। প্রতিদিনই শনাক্ত হচ্ছে করোনা আক্রান্ত একাধিক রোগী। এরপর ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে এখনও উদাসীন মানুষ।
স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মতি নজরদারি না থাকায়, হাট-বাজারে মাস্ক ছাড়াই ঘুরছেন সবাই।
কোথাও বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির। বিপনি বিতান, হাটে-ঘাটে সেই স্বাভাবিক সময়ের চিত্র। ভাইরাস মহামারির উর্ধ্বগতি ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধিসহ নানা বিধি নিষধ জারি থাকলেও তা মানছেন না কেউ।
সচেতন মহল বলছেন, এখনই সচেতন না হলে গেল বছরের মতো নাজুক হতে পারে এ উপজেলার করোনা পরিস্থিতি।
উল্লেখ্য: গত বছরের মার্চ মাসে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এর একমাস পর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় দেখা দেয় করোনার প্রকোপ। হু হু করে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা।
প্রাণ হারান শিশুসহ ১২জন নারী-পুরুষ। করোনার হটস্পট হয়ে উঠে উপজেলা। আক্রান্ত হন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শতাধিক লোকজন। পরে ধীরে ধীরে কমে আসে আক্রান্ত শনাক্তের হার। কিছুটা স্বাভাবিক হয় সার্বিক পরিস্থিতি।
এ দিকে দীর্ঘ বিতরতির পর গত মে মাসে হঠাৎ বৃদ্ধি পায় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। কেবল এ মাসেই আক্রান্ত হন উপজেলার ৬১ জন নারী-পুরুষ। এখনও প্রতিদিনই শনাক্ত হচ্ছে করোনা আক্রান্ত একাধিক রোগী।
বিগত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২ নারী। এ নিয়ে উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩শ ৪০ জনে। এদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৩শ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশেনে আছেন ২৮জন করোনা আক্রান্ত রোগী।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকসহ স্বাস্থ্যবিধি পালনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।