পটুয়াখালীর দুমকিতে এক প্রতিবন্ধী যুবককে মারধর, বাড়িঘরে হামলা লুঠপাটের ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো প্রতিপক্ষের গৃহবধুর শ্লীলতাহানীর মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ ওঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার দুমকি সাতানী গ্রামের আ: রশিদ হাওলাদারের প্রতিবন্ধী ছেলে খোকন বাড়ির সামনের নিজস্ব জমির ঘাসে গরু বাঁধতে গেলে প্রতিপক্ষের রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে দুলাল হাওলাদার তাঁকে মারধর করে গরুটি ছেড়ে দেয়। এঘটনার জেরে দু’পক্ষে তীব্র ঝগড়া-বিবাধের এক পর্যায়ে দুলাল, বেল্লালের নেতৃত্বে ৭/৮জনের একটি লাঠিয়াল বাহিনী গত ২৩ অক্টোবর রশিদ হাওলাদারের বসত:ঘরে হামলা চালিয়ে প্রতিবন্ধি খোকনকে পিটিয়ে জখম, ঘরের আসবাবপত্র তছনছ ও লুঠপাট চালায়।
এঘটনায় আহত খোকনের বাবা রশিদ হাওলাদার বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের দুলাল, বেল্লালসহ ৭জনকে আসামী করে দুমকি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা ও লুটের মামলা দায়ের করেছে। (দুমকি থানার মামলা নম্বর-২, তারিখ: ২৩/১০/২১খ্রি: ওই মামলা ধামাচাপা দিতে আসামীপক্ষের আ: আজিজ হাওলাদারের স্ত্রী সাহিদা বেগম মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে বাদী পক্ষের ৭জনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জুডিশিয়াল আদালতে পাল্টা মামলা দায়ের করে অসহায় প্রতিবন্ধীর পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রশিদ হাওলাদার। তিনি অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘদিন যাবত আমাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়।
এক পর্যায় আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে বেধরক মারপিটসহ কুপিয়ে যখম করে উল্টো আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এছাড়াও আমার প্রতিবন্ধী ছেলে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় তাকে মামলার আসামী করা হয়েছে। অপর মামলার স্বাক্ষী রেনু বেগম বলেন, বিনাদোষে আমাকে একা পেয়ে ঘরের সবাই মিলে অমানুষিক নির্যাতন করে আমার হাত পাঁ ভেঙ্গে দেয় এবং পুত্রবধুকে শ্লীলতাহানী করে। এ ঘটনার আগে আমাদের নামে একটি মিথ্যা মামলাও করেন তারা।
অভিযোগের বিষয়ে আংগারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈদয় গোলাম মর্তুজা বলেন, আমি পাল্টাপাল্টি মামলার বিয়য়টি শুনেছি তবে সাহিদা বেগম বাদী হয়ে যে মামলাটি করেছে মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।