ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেটে বহুল আলোচিত শিশু আবু সাঈদ অপহরণ ও হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া পুলিশ কনস্টেবলসহ ৩ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার ডেথ রেফারেন্স ও আসামীদের আপিল খারিজ করে রায় দেন বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ।
আসামীরা হলেন, সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা।
এ মামলায় আদালতে পুতুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাকিবের পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এবং আতাউর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো.সিদ্দিকুর রহমন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশীদ এই ৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। সেই রায়ের ডেথ রেফারেন্স ও আসামীদের করা আপিলে আবেদন শুনানি শেষে মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, শিশু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩৭ জন সাক্ষীর বিপরীতে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর চার্জগঠনের মাধ্যমে শিশু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
২০১৫ সালের ১১ মার্চ সিলেট নগরীর শাহ মীর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯) অপহৃত হয়। অপহরণের ৩ দিন পর ১৪ মার্চ নগরীর ঝর্ণারপাড় সোনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোটা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর এই মামলায় ৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কোতোয়ালী মডেল থানার তৎকালিন ওসি মোশাররফ হোসেন।