আলোকিত ডেস্ক থেকে সফিকুল ইসলাম রাজাঃ
২০১৩ থেকে ২০১৭- বার্সেলোনার হয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ধ্বংসস্তূপে পরিণত করাই ছিল এই জুটির পছন্দের কাজ। এরপর নেইমার পাড়ি জমান প্যারিসে, কাতালান ক্লাবটিতে থেকে যান মেসি। ক্লাবের জার্সি বদলালেও বন্ধুত্বটা থেকে গেছে আগের মতোন।
মেসি যেমন নেইমারকে বার্সায় ফেরানোর জন্য নানান সময়ে নানান পদক্ষেপ নিয়েছেন, তেমনি নেইমারও তার বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্যারিসে। মেসি-নেইমারের সম্পর্কটা এমনই। রোববার কোপা আমেরিকা ফাইনাল হারের পর কান্নায় ভেঙে পড়া বন্ধুকে স্বান্তনা দেবার দায়িত্বটাও তাই নিজের কাঁধে তুলে নেন লিওনেল মেসি।
ফাইনাল শেষে হাসলেন মেসি, কাঁদলেন নেইমার। শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসলেন বর্তমান সময়ের সেরা ফুটবলারটি। অন্যদিকে নেইমার জিততে না পারার হতাশা নিয়ে কাঁদলেন। জার্সি টেনে এনে হতাশায় মুখ ঢাকলেন, চোখের জল লুকালেন। তাকে এসে জড়িয়ে ধরে স্বান্তনা দিলেন কোচ তিতে। তবে তাতে কাজের কাজ হলো না। ক্যারিয়ারের প্রথম কোপা আমেরিকা শিরোপা জয়ের নিকটতম দুরত্বে থেকেও ছোঁয়া হলো না। এই আক্ষেপ কি এত সহজে ভুলতে পারা যায়?
আর্জেন্টাইনরা যখন উদযাপনে ব্যস্ত, তখন মাঠের এক কোণে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন নেইমার। রিচার্লিসন এসে জড়িয়ে ধরেন। কিন্তু শান্ত করতে পারেননি। নেইমার কাঁদতে কাঁদতে একসময় মাঠে বসে পড়েন। উঠে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পরেই তাঁকে জড়িয়ে ধরেন মেসি। অনেকক্ষণ জড়িয়ে থেকে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ওঠার আগে এগিয়ে এসে মেসিকে অভিনন্দন জানালেন নেইমার। শিরোপা জয়ের অভিনন্দন জানাতে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন মেসিকে। মেসিও প্রিয় বন্ধুকে মনে হয় যেন দীর্ঘদিন পর কাছে পেলেন। জড়িয়েই ধরে রাখলেন দীর্ঘক্ষণ।
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে আড্ডা চলে কিছুক্ষণ। জার্সি বদলের পর সেটা আর গায়ে জড়ানোর প্রয়োজন মনে করেনি কেউ। কারণ ওই জার্সিটাতেই তো কাঁটাতারের পার্থক্য স্পষ্ট। বন্ধুত্বের সম্পর্কে তো আবার এসব কাঁটাতারের সমীকরণ অর্থহীন।