সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সদর এবং গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে নদীর পানি আর অঝরে বর্ষণের জলে একাকার। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানিতে সুরমা নদীর পানি আরও ফুলে ফেঁপে উঠছে।
টানা বর্ষণে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা লক্ষিপুর ইউনিয়নের চিত্র একই।পানিবন্দী মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে।
১৯(বৃহস্পতিবার)বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী লক্ষিপুর ইউনিয়ন শাখা, এরুয়াখাই তিলুরা কান্দী,ও বড়কাটায় বন্যার্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, লক্ষীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ডাঃ হারিছ মিয়া, সেক্রেটারি ডাঃ এনামুল হক, সাবেক সভাপতি আব্দুস সাত্তার,৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার ওমরগনী ,ডাঃ আব্দুল করিম,চকবাজার ইউনিট শাখার সেক্রেটারি বেলাল হোসেন, লক্ষীপুর ইউনিয়নের শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সভাপতি এমদাদুল হক, প্রবাসী নরুল আলম স্বপন,বক্তার পুর ইউনিট সভাপতি উমর আলী, ও সাইফুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এ সময় লক্ষিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ডাঃ হারিছ মিয়া বলেন,দোয়ারাবাজার অঞ্চলে আকস্মিক ভয়াবহ বন্যায় হাবুডুবু খাচ্ছে। মানুষের ঘর-বাড়ি,পুকুরে পানি ঢুকে টইটম্বুর করছে। সরকারি, বেসরকারি কলেজ, মাদরাসা ও কিন্ডারগার্টেনগুলো মারাত্মকভাবে বন্যাকবলিত।পানি বন্দী মানুষের ঘরে নেই কোন খাবার। গবাদিপশুর খাদ্য সংকটে ভুগছে । সুরমা-নদীর পানি প্রতিনিয়ত লোকালয়ে প্রবেশ করছে। অথচ কিছু স্থানীয় সংস্থা ব্যাতিত সরকারি ত্রাণ তৎপরতা চোখে পরেনি।
তিনি আরো বলেন, জাতির এ ক্লান্তিতে এ দুর্যোগে শহিদি কাফেলা আপামর জনতার হৃদয়ের সংগঠন, জামায়াতে ইসলামী লক্ষিপুর ইউনিয়ন শাখা তার সাধ্যানুযায়ী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়াও তিনি বলেন,ইতিপূর্বেও জামায়াত মানুষের দুর্দশা,দুর্যোগে পাশে ছিল, এখনো আছে এবং থাকবে। জামায়াত মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল বিত্তশালীও সরকার কে জনগণের পাশে এসে দাঁড়াতে আহ্বান জানান।