পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া বোর্ড অফিস বাজার ব্রীজ সংলগ্ন দক্ষিন পার্শে ১৩ নভেম্বর শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ০৪.৩০ মিনিটে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
উক্ত অগ্নিকান্ডে ৪জন ঘর মালিকের ৭টি দোকান সম্পূর্ন পুড়ে ভস্মিভূত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী নৈশ প্রহরী আবদুস সত্তার হাওলাদার জানান, তিনি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় প্রথমে অমল দাসের দোকানের ভিতরে আগুন দেখতে পেয়ে ডাকচিৎকার শুরু করলে স্থানীয় জনগন ছুটে আসে এবং আগুন নিভানোর চেষ্টা চালায় কিন্তু আগুনের ভয়বহতা ব্যাপক আকার ধারণ করলে তারা পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসে খবর পাঠান। পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছালে ততক্ষনে ৭টি দোকান সম্পূর্ন পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী তারিকুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলাম (বাবুল মেম্বর) জানান, তারা আগুন দেখা মাত্রই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পটুয়াখালীতে ফোন করলেও মাত্র ২২ কিলোমিটার পথে পটুয়াখালী থেকে মুরাদিয়া আসতে সময় লেগেছে প্রায় ১ঘন্টা। স্থানীয় অভিযোগের প্রেক্ষিতে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মাস্টার মো. রেজওয়ান জানান, তার অফিসে রাত ১টা ২৫ মিনিটে খবর পৌছলে তিনি প্রস্তুতি নিয়ে মাত্র ২৭ মিনিটে ঘটনা স্থলে পৌছাতে সক্ষম হন। এর পরে বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশন ঘটনাস্থলে পৌছে।
ক্ষতিগ্রস্থ ঘর মালিক হলেন, জাহিদুল ইসলাম(বাবুল মেম্বর), সহিদুল ইসলাম সিকদার, নুরুল ইসলাম চৌকিদার ও বাচ্চু হাওলাদার। দোকানীরা হল মো. সহিদুল ইসলাম সিকদার (মুদি), আবদুল জলিল(খাবার হোটেল), অমল দাস(মুদি), অতুল পাইক(পান সিগারেট), নাঈম হোসেন (মোবাইল সার্ভিসিং), আলতাফ চাকলাদার (চা-সিগারেট) এবং নাছিমা বেগম (খাবার হোটেল)। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন অমল দাস ও সহিদুল ইসলাম সিকদার।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে স্টেশন মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তদন্ত ছাড়া আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না।
দুমকি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাহাদাত হোসেন মাসুদ, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান এইচ.এম মাসুদ আল-মামুন ও ফরিদা ইয়াসমিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আকন সেলিম, সাংগঠিক সম্পাদক আবুল হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মিজুনুর রহমান সিকদার, আমিনুল ইসলাম সালাম, সৈয়দ গোলাম মর্তুজা, গাজী নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দুমকিতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় প্রতিনিয়তই এরকম মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসীসহ সকলের দাবী দুমকিতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের ব্যাপারে দুমকি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ এ্যাসোসিয়েশন’র সভাপতি আলহাজ্ব হারুন অর-রশীদ হাওলাদার বলেন, অনতিবিলম্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিষ্ঠিত দুমকি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হবে যাতে স্থানীয় জনসাধারণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।