সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত প্রায় অর্ধ শতাধিক দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী কর্ম ঘন্টা নির্ধারণ ও ছুটি প্রাপ্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ রোববার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৩ ঘটিকায় সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাশ’র বরাবরে লিখিত স্মারক লিপি প্রদান করেন।
এসময় দপ্তরী কাম প্রহরীরা বলেন- আমরা আমাদের নির্দিষ্ট একটি পদ চাই এবং এই পদের দায়িত্বসহ সময় সীমা নির্ধারণ অর্থাৎ আমাদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ চাই। যদিও আমাদের অনেক সহকর্মী আদালতে রিট করে পক্ষে রায় পেয়েছি। কিন্তু মহামান্য হাইকোর্টের রায় এখনো কার্যকর কেনো হয়নি।
আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই। আমরা কোন ছুটি ভোগ করতে পারি না অথচ আমাদের ছুটি ভোগ করার অধিকার রয়েছে।
তাদের এই নায্য অধিকার আদায়ের পক্ষে প্রযোজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে এই স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য: ২০১৩ ইং থেকে এ যাবৎ বাংলাদেশের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফায় দফায় প্রায় ৩৭ হাজার দপ্তরী কাম প্রহরী পদে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তাদের দাবী অনুযায়ী কাজের নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নেই। নেই কোন নৈমিত্তিক ছুটির সুযোগ। অথচ তারা ২০১৩ সাল থেকেই ২৪ ঘন্টা বিদ্যালয়ে দায়ীত্ব পালন করে আসছেন।
পৃথিবীর বুকে একজন মানুষ দিয়ে ২৪ ঘন্টা খাটানোর নজির এটাই মনে হয় বাংলাদেশে প্রথম।