করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত দ্বিতীয় ধাপের নকঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিন বুধবার (২৮ জুলাই) আগের দিনগুলোর তুলনায় রাস্তায় বেশি মানুষের চলাচল দেখা গেছে। রাস্তায় চেকপোস্টের সংখ্যাও তুলনামূলক কম।লকডাউনের শুরু থেকেই প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত গ্রেপ্তার ও জরিমানা করছেন। এ ছাড়া জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখানো ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তল্লাশির সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানালে তারা তাদের গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন।লকডাউনের ষষ্ঠ দিনেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও গাইবান্ধার অনেক এলাকায় কিছু দোকানপাট খোলা ছিল। এছাড়াও নির্দেশ অমান্য করে জেলা শহর এবং উপজেলা সদরে মটরসাইকেল ও ইজিবাইকের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ায় শহরের রাস্তায় যানবাহনের চলাচল ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই দোকানের অর্ধেক পাল্লা খুলে অবাধে বেচাকেনা চালাচ্ছেন। এতে করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে লোকজনের চলাচলের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিশেষ করে শহরের ইসলাম প্লাজা, স্টেশন রোড, সান্দারপট্টি, গফুর মার্কেট, কলেজ রোড, ভিএইড রোডসহ শহরতলি দারিয়াপুর, স্কুলের বাজার, দুইমাইল, পুলবন্দি, সুন্দরজাহান মোড়, মোল্লা বাজার, পাঁচজুম্মা, বোর্ড বাজার এলাকাগুলোতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে দোকান কর্মচারী ও মালিকদের দাঁড়িয়ে থেকে ভীড় করতে দেখা যায়।এদিকে উন্মুক্ত স্থানে কাচাবাজার বসানোর কথা থাকলেও তা পালন করা হচ্ছে না। শহরের পুরাতন বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানা তো দুরের কথা মাস্ক না পড়ে আগের মতই যথারীতি ভীড় করে কেনাকাটা করছে। ফলে শহরে লোকজনের চলাচল আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যাওয়ায় মনেই হয় না লকডাউন চলছে।