সিলেটের ওসমানীনগরে কৃষকলীগের কাউন্সিলে নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির পর স্টেজ, ফ্যান,চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করেন স্থানীয় উত্তেজিত নেতা কর্মীরা।
ঘটনার পর কাউন্সিল স্থগিত রেখে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রহরায় সম্মেলন স্থল ত্যাগ করেন আমন্ত্রিত অতিথিগণ। বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, গত ৩১ মে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গোয়ালাবাজারস্থ শাহজালাল কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক মোস্তাক আহমদ এর সভাপতিত্ব উপজেলা কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে সম্মেলন শুরু হয়। কাউন্সিলে প্রধান অতিখি ছিলেন, সিলেট জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী।
যুগ্ম আহবায়ক লিলিউর রহমান পংকীর সঞ্চালনায় সমেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মবশ্বির আলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. শাকির আহমদ শাহীন, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আবদাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু প্রমুখ।
সম্মেলন শেষে সন্ধ্যা ৭টায় কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা কৃষকলীগের সভাপতি শাহ নিজাম উদ্দিন, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামছুল ইসলামের উপস্থিতিতে ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল হয়। কাউসিলে মোস্তাক আহমদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করতে নিজেদের নাম ঘোষণা করেন উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন সালাই, আব্দুল হামিদ ও লিলিউর রহমান পংকি। আলোচনার মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করতে না পেরে জেলা নেতৃবৃন্দ গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের উদ্যোগ নেন। ভোট গ্রহণের এক পর্যায়ে জাল ভোটের অভিযোগ তুলে ২জন প্রার্থী কাউন্সিলস্থল ত্যাগ করেন। এতে জেলা নেতৃবৃন্দ কাউন্সিল স্থগিত ঘোষণা করেন।
এসময় স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে হাতাহাতি শুরু করেন। উভয়ের মধ্যে শুরু হয় চেয়ার-টেবিল ছুড়াছুড়ি। ভাঙচুর করা হয় সম্মেলনের মঞ্চ, ফ্যান ও আসবাবপত্র । পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কাউন্সিল স্থগিত ঘোষণা করে নেতা কর্মীদের প্রহরায় সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন অতিথিবৃন্দ ।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী লিলিউর রহমান পংকি বলেন, সম্পাদক পদে নির্বাচনে সমস্যা হয়েছে। এরপর পুরো কাউন্সিল স্থগিত ঘোষণা করে যান আমন্ত্রিত নেতৃবৃন্দ।
ওসমানীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মাকুছুদুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, সমস্যার খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। চেয়ার-টেবিল, মঞ্চ ভাঙা দেখেছি। কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।