মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খলাগাঁও গ্রামের একটি পরিবার এলাকায় বন্যা না হওয়া সত্বেও সম্পূর্ন পানি বন্দী।
রোববার (২২ মে) বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ পেয়ে বাড়িটি এবং আশেপাশের পরিবেশের পরিদর্শনে যান ৩নং মুন্সিবাজার ইউ পি চেয়ারম্যান জনাব রাহেল হোসেন। উনার সঙ্গে ছিলেন পরিষদের সদস্য চয়ন দেব,শামীম আহমদ, হেলাল আহমেদ,নুরুল আমীন প্রমুখ।
সরেজমিনে দেখা গিয়ে দেখা যায়,বাজার সংলগ্ন এই এলাকার পানি নিষ্কাশনের যে সমস্থ খাল এবং ড্রেন ছিলো তা বিভিন্ন মহল কতৃক অবৈধ দখল করা এবং যে সমস্ত স্থানে এখনো পানি নিষ্কাশন হচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয়।যে খালের মধ্য দিয়ে মুন্সিবাজার সহ আশে পাশের সকল পানি প্রবাহিত হয়ে হাওরে গিয়ে মিশতো, সেই খাল বিলুপ্ত প্রায়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রথীন্দ্র বৈদ্য বলেন,বিগত পঁাচ বছর আগে আমার বাড়িতে হঠাৎ করে পানি ঢুকে পড়ে।তখন কারন অনুসন্ধানে দেখা যায় আমার বাড়ির পরে যে অংশীদার উনি উনার জায়গাতে পানি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেন।এই ব্যাপারে আমি তৎকালীন প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করি এবং খোদ উপজেলা থেকে প্রসাশনিক কর্মকর্তার অবস্থানে নালা তৈরি করার পরামর্শ দিলে,যিনি মালিক তিনি সম্পূর্ন নালা না করে উনার বিল্ডিংয়ের পাশে রাস্তা করে দেন।এই নালা পানি যাওয়ার জন্যে পর্যাপ্ত না হওয়ার আমরা পূনরায় এই দূর্দশায় ভোগছি।এই পানি কিন্তু সম্পূর্ণ মুন্সিবাজারের পানি, যা আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে।তিনি বলেন আজ আমাদের চেয়ারম্যান,মেম্বারগন এসেছেন এবং উনারা আমাদেরকে আস্বস্ত করেছেন।আমি প্রশাসনের নিকট আহ্বান করি আমি যেনো আমার পরিবার পরিজন নিয়ে আমার নিজ বাড়িতে বসবাস করতে পারি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জনাব রাহেল হোসেন বলেন,আমি বিভিন্ন মহল থেকে এই বাড়ি এবং বাজারের পানি যাবার নালার অভিযোগ পেয়ে আমার পরিষদের সম্মানিত সদস্যদের নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমান পেয়েছি।আমি অচিরেই উর্ধতন প্রসাশন সহ এই সমস্যার সমাধান করবো।
এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজের মতে, দ্রুত গতিতে এই খাল,নালা গুলো ঠিক না করলে অচিরেই মুন্সিবাজার সহ সম্পূর্ন এলাকা ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়বে।